দারুল মাহমুদ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসায় হিফয সমাপনকারী ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দারুল মাহমুদ মাদ্রাসায় হিফয সমাপন ও পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান, সিলেট (২০২৫)
দারুল মাহমুদ মাদ্রাসায় হিফয সমাপন ও পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান, সিলেট (২০২৫)

সিলেটে দারুল মাহমুদ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসায় হিফয সমাপন ও পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠিত

সিলেট, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫:
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল মাহমুদ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসায় হিফয সমাপনকারী ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুরআনপ্রেমী উলামায়ে কেরাম, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

দারুল মাহমুদ মাদ্রাসায় হিফয সমাপন ও পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান, সিলেট (২০২৫)
দারুল মাহমুদ মাদ্রাসায় হিফয সমাপন ও পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান, সিলেট (২০২৫)

হিফয সমাপন ও পাগড়ি প্রদান

অনুষ্ঠানে কুরআন হিফয সম্পন্নকারী ছাত্রদের আনুষ্ঠানিকভাবে পাগড়ি পরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। এই সময় শিক্ষার্থীরা পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত করেন, যা উপস্থিত দর্শকদের আবেগাপ্লুত করে তোলে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাফিজ মাওলানা তজম্মুল আমিন সাহেব বলেন,
“একজন হাফিজ শুধু কুরআনের ধারক নন, বরং তিনি কুরআনের আলোকিত শিক্ষা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।”

উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—
হাফিজ মাওলানা আহমদ সগীর বিন আমকুনী সাহেব
মাওলানা আব্দুল আহাদ নুমানি সাহেব
উস্তাদুল হুফফাজ হাফিজ জুনাইদ আহমদ সাহেব

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন—
জনাব মনির হোসাইন (স্যার)
জনাব আব্দুল হামিদ চৌধুরী

তাঁরা মাদ্রাসার ভূমিকা ও হিফয শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের ইসলামিক জ্ঞান চর্চার প্রতি উৎসাহিত করেন।

মাদ্রাসার উন্নয়ন ও ভূমি ক্রয় পরিকল্পনা

মাদ্রাসার পরিচালক হাফিজ মাওলানা আব্দুল আহাদ জানান, মাদ্রাসার সম্প্রসারণের জন্য ৭ শতক জমির বায়না করা হয়েছে, যার কিছু অংশ ইতোমধ্যে পরিশোধ হয়েছে। তবে এখনো কিছু অর্থ বাকি রয়েছে। তিনি সকল মুসলিম সমাজের সহানুভূতি ও সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, “মাদ্রাসার উন্নয়নে ভূমি ক্রয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকল দানশীল ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান, তারা যেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।”

অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিভাবকরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। এক অভিভাবক বলেন—
“আমার সন্তান কুরআনের হাফিজ হয়েছে, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। আমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালকদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

অন্য অভিভাবক বলেন—
“দারুল মাহমুদ মাদ্রাসা কুরআনী শিক্ষার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। আমি চাই, আরও শিক্ষার্থী এখানে এসে পবিত্র কুরআন হিফয করুক।”

বিশেষ দোয়া ও সমাপ্তি

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও নতুন ভূমি ক্রয়ের সফলতার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। উপস্থিত সকলেই মাদ্রাসার অগ্রগতি ও শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য মুনাজাত করেন।


কীওয়ার্ড :

  • হিফয সমাপন অনুষ্ঠান
  • পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান
  • সিলেট ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • বাংলাদেশের হিফয মাদ্রাসা
  • কুরআন হিফজ সমাপনী অনুষ্ঠান

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন