![]() |
| দারুল মাহমুদ মাদ্রাসার লগো [চিত্র: সংগৃহীত] |
মাদ্রাসার পরিচিতি
একনজরে দারুল মাহমুদ
নাম: দারুল মাহমুদ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা ঠিকানা: শাহপরান উপশহর আ/এ, খাদিমনগর, শাহপরান, সিলেট।
প্রতিষ্ঠাকাল: ০৮-০৫-২০২২ ঈসায়ী।
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক: হাফিজ মাওলানা আব্দুল আহাদ
শিক্ষক সংখ্যা: ৬ জন,
কর্মচারী সংখ্যা: ১ জন
হিফজ শাখায় ছাত্র সংখ্যা: ৮০ জন
হিফজুল কুরআন বিভাগ: এ শাখায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলীদের সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে সীমিত সময়ে তাজবীদসহ বিশুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন মাজীদ হিফজ করানো হয়। সাথে সাথে প্রয়োজনীয় মাসআলা মাসাইল, হস্তলিপি, ও প্রাথমিক উর্দু শিক্ষা দেওয়া হয়।
নাযারা বিভাগ: এ শাখায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকমন্ডলীদের সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে সর্বোচ্চ ১ বছরে তাজবীদসহ বিশুদ্ধভাবে কুরআন শেখানোর পাশাপাশি, আরবী, বাংলা, ইংরেজি অক্ষর জ্ঞান ও হস্তলিপি শিক্ষাদানসহ নির্বাচিত সূরা, কালিমা, নিত্যদিনের জরুরী দোয়া, মাসাইল, হাদিস ও আদব কায়দা শিক্ষা দেওয়া হয়। অর্থাৎ কুরআন মুখস্ত করার পূর্বে যতটুকু শিক্ষাদানের প্রয়োজন তা দেয়া হয়।
নাযারা বিভাগের বৈশিষ্টঃ
ক. এ বিভাগে সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১০ বৎসরের ছাত্র ভর্তি করা হয়।
খ. এ বিভাগের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বৎসর। এক বৎসর পূর্ণ নাযেরা শেষ করার পর নায়েরার পরীক্ষা দিয়ে হিফজ বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। যারা হিফজের জন্য উপযুক্ত নয় তাদেরকে কিতাব বিভাগে ভর্তির জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
নাযেরা বিভাগে একজন ছাত্রকে যা পড়ানো হয়:-
নাযেরা কুরআন শরীফ পুরো খতম। ২০টি হাদিস অর্থসহ মুখস্ত। মাসনুন দোয়া ও নামাযের মাসায়েল। তাজবীদ শিক্ষা, আদব আখলাক, ছোটদের উপযোগী ইসলামী সাহিত্য ও ইতিহাস। (অর্থাৎ নবী রাসুল ও সাহাবাদের) জীবনাদর্শ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
আলহামদুলিল্লাহ! সুশিক্ষা জাতি ও দেশের উন্নতির প্রধান হাতিয়ার। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সেই জাতি তত বেশি উন্নত এবং সম্মানিত। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন বা অগ্রগতি কল্পনাও করা যায় না। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে এ দেশের জনগণের মাঝে দ্বীনি চেতনা ও অনুভূতির বিস্তার ঘটেছে। তারা আশা করেন, তাদের সন্তানরা ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করবে এবং মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবে। এই লক্ষ্যে 'দারুল মাহমুদ তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা' হতে পারে একটি আদর্শ পথপ্রদর্শক। আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের কিছু বাস্তবসম্মত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে, যা আপনাকে মানসম্মত শিক্ষার নিশ্চয়তা দিতে পারে।
ইলমে দ্বীন অন্বেষণকারী ছাত্রদের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিশুদ্ধ তাওহীদ, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সুন্নাতের অনুসরণ, আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং দ্বীনের সত্যিকারের প্রচারক হিসেবে তাদের প্রস্তুত করা আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি, এলাকাভিত্তিক দ্বীনি পরিবেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা এবং সর্বোপরি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
মহান আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করে ২০২২ ইংরেজি থেকে "দারুল মাহমুদ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা" তার আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম সূচনা করে। কুরআন সুন্নাহ'র আলোকে দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষা সিলেবাসের অনুকরণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি আদর্শ কওমী মাদরাসা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ধীরে ধীরে "দারুল মাহমুদ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা" তার অভিষ্ট লক্ষ্যপানে এগিয়ে চলছে। আলহামদুলিল্লাহ। আগামীতে আরো সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। বর্তমানেও "দারুল মাহমুদ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা'য় হিফজুল কুরআন বিভাগ, নাযারা বিভাগ এর শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দারুল মাহমুদ কর্তৃপক্ষ আগামীতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ভবিষ্যত পরিকল্পনা: মাদ্রাসার নিজস্ব ভূমিক্রয় পূর্বক স্থায়ী ক্যাম্পাস ও ক্রমান্বয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে ইসলামী শিক্ষা ও ব্যাপক দাওয়ার মাধ্যমে উম্মাহকে ইহ-পরকালীন সফলতা লাভে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাওয়া।
বিঃদ্রঃ পর্যায়ক্রমে জামাত (ক্লাস) বৃদ্ধি করা হবে (ইনশাআল্লাহ)।
মাদ্রাসার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল

আলহামদুলিল্লাহ
উত্তরমুছুনমাশাআল্লাহ, দারুল মাহমুদ মাদ্রাসা এগিয়ে যাক তার লক্ষ্যে পাণে।
উত্তরমুছুনদারুল মাহমুদ মাদ্রাসা হাফিজি পড়াশোনার জন্য খুব একটা মাদ্রাসা।
উত্তরমুছুনআলহামদুলিল্লাহ, বর্তমানে দারুল মাহমুদ মাদ্রাসা সিলেটের অন্যতম হিফয প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন