| সংগৃহীত |
রোববার সকালে দুদকের একটি সূত্র থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। দুদক জানিয়েছে, এই অর্থপাচারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তে পাওয়া যেকোনো প্রমাণের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানানো হয়েছে।
এর আগে, দেশের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ এবং মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। অভিযোগ রয়েছে, এই প্রকল্পগুলোতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশে বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এসব অর্থের বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বেপজাসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে এই অনিয়ম ও দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের নথিপত্র সংগ্রহ শুরু করেছেন এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, ব্যাংক লেনদেনের তথ্য, বিদেশি অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে দুদক। এই তদন্ত কার্যক্রমে যেকোনো ধরণের রাজনৈতিক প্রভাব এড়াতে কমিশন বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে। দুদক আশা করছে, এই তদন্তের মাধ্যমে অনিয়ম এবং দুর্নীতির প্রকৃত চিত্র উন্মোচিত হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী এবং সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম প্রয়োজন। এছাড়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহ এই তদন্তের সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনীতি| বাংলাদেশ| দুদক| নিউজ বাংলা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন