![]() |
| সংগৃহীত |
মৌলভীবাজারে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড: গোপাল বাগদির শেষকৃত্য সম্পন্ন, প্রতিবাদ তীব্র
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত চা শ্রমিক গোপাল বাগদির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ। বিকেল ৫টার দিকে পাথারিয়া চা বাগানের সার্বজনীন শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
গোপাল বাগদির মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে সোমবার বিকেলে তার বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। তিনি নিহতের সৎকারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। নিহত গোপাল বাগদি দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের নিউ সমনবাগ চা বাগানের বাসিন্দা এবং সাবেক ইউপি সদস্য অখিল বাগদির ছেলে।
রবিবার সন্ধ্যায় সীমান্তের জিরো লাইন থেকে প্রায় ২০০ গজ অভ্যন্তরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারে বিজিবি, পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা যৌথভাবে অংশ নেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিশেষত, বিএনপি ও জামায়াতসহ অন্যান্য দল ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি পালন করেছে।
![]() |
| সংগৃহীত |
বক্তারা বলেন, বিএসএফের গুলিতে একের পর এক নিরীহ বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা আরও উল্লেখ করেন, গত আগস্টে স্কুলছাত্রী স্বর্ণা দাসকেও বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছিল। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
জামায়াতের নিন্দা ও প্রতিবাদ
অন্যদিকে, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াত-ই-ইসলামীও এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। রোববার রাতে এক বিবৃতিতে জেলা জামায়াতের আমির প্রকৌশলী শাহেদ আলী এবং সেক্রেটারি ইয়ামীর আলী বলেন, সীমান্তে নিরীহ মানুষের হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এ ছাড়া, নিহত গোপাল বাগদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে জামায়াতের জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান এবং স্থানীয় সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যার তীব্র সমালোচনা
জীবিকার প্রয়োজনে সীমান্তের জঙ্গলে বাঁশ কাটতে গিয়েছিলেন চা শ্রমিক গোপাল বাগদি। এ সময় বিএসএফ নির্মমভাবে তাকে গুলি করে হত্যা করে। স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন সংগঠন এই হত্যাকাণ্ডকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।গোপাল বাগদির মৃত্যু সীমান্ত অঞ্চলে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আবারও সামনে এনেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
জামায়াত| বিএনপি | মৌলভীবাজার
নিউজ বাংলা | news bangla

.jpg)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন